এবিএনএ : আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্তর্গত আলামপুর ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস ও বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দহকুলা বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রথমে ওই দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল তাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর আক্রমণ ও হামলা চালায়। এতে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের সমর্থক লাল্টু মোল্লা (৪২) গুরুতর আহতসহ কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে লাল্টু মোল্লাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত লাল্টু দহকুলা গ্রামের মৃত সোহরাব মোল্লার ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ মননীত প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস ও তার সমর্থকদের দায়ী করেন। এদিকে পুলিশ ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আহতদের মধ্যে তাজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে পল্টন ( ৩৬), রিয়াজ আলীর ছেলে মুলাম আলী (৩৬) আদালত বিশ্বাসের ছেলে তাজ উদ্দিন বিশ্বাস (৩৫), আনছার বিশ্বাসের ছেলে আসাদুল মেম্বর (৪৫), মকছেদ মোল্লার ছেলে মনো মোল্লা (৪৭) ও ইয়াদ আলীকে (৪৭) গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মূহুর্তে ওই এলাকায় পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওসি বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।